২-আমল কবুল হওয়া :
ইখলাছ হল আমল কবুলের শর্ত। ইবনে কাসীর রহ. বলেছেন : দুটো শর্তের সন্বিবেশ ব্যতীত আল্লাহ
তাআলা আমল গ্রহণ করবেন না। প্রথম শর্ত হল আমলটি
শরীয়ত অনুমোদিত হতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত আমলটি ইখলাছ (একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর
জন্য নিবেদিত) সহকারে শিরকমুক্ত ভাবে আদায় করতে হবে। (তাফসীরে ইবনু কাসীর)
আল্লামা সাজী বলেছেন : পাঁচটি গুণের মাধ্যমে
জ্ঞানের পূর্ণতা লাভ হয়। গুণ পাঁচটি হল : আল্লাহর পরিচয় লাভ। হক বা যা সত্য তার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপণীত হওয়া। ইখলাছ বা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ
করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর সুন্নাহ মোতাবেক কাজ করা এবং হালাল খাদ্য গ্রহণ করা। যদি এর একটি অনুপস্থিত থাকে তাহলে তার আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। (আল-জামে লিআহকামিল কুরআন : কুরতুবী)
আল্লামা সিদ্দীক খান বলেন : ইখলাছ আমলের শুদ্ধতা
ও কবুলের একটি অন্যতম শর্ত, এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই। (আদ-দীনুল খালেছ : সিদ্দীক খান)
প্রমাণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর হাদীস-
إن الله لا يقبل من العمل إلا ما كان
خالصا وابتغى به وجهه
.(أخرجه النسائي 3140( وصححه
الألباني في سنن النسائي2/659 (
আল্লাহ তাআলা শুধু সে আমলই গ্রহণ করেন যা
ইখলাছের সাথে এবং আল্ল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়। (বর্ণনায় : নাসায়ী)
হাদীসে আরো এসেছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : إذا
جمع الله الأولين والآخرين يوم القيامة ليوم لا ريب فيه نادي مناد من كان أشرك في
عمل عمله لله فليطلب ثوابه من عند غير الله فإن الله أغنى الشركاء عن الشرك.أخرجه ابن ماجة 4203 وحسنه
الألباني
রাসূলুল্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন: কিয়ামতের দিনে আল্ল্লাহ তাআলা যখন সকল মানুষকে একত্র করবেন তখন একজন ঘোষণাকারী
ঘোষণা করবে, যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত কাজে অন্য কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করেছে সে
যেন আল্লাহকে বাদ দিয়ে সেই শরীকের কাছ থেকে প্রতিদান বুঝে নেয়। কেননা, আল্ল্লাহ তাআলা সকল প্রকার অংশীদার ও অংশীদারিত্ব
থেকে মুক্ত। (বর্ণনায় : ইবনে মাজাহ)
0 comments:
Post a Comment