৭- মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও ভালবাসা লাভ
:
আল্লাহ তাআলা ইখলাছ অবলম্বনকারী বান্দাদের
জন্য মানুষের ভালবাসা ও গ্রহণযোগ্যতা লাভের ফয়সালা করেন। পক্ষান্তরে যে মানুষের মন পাওয়ার জন্য মানুষের কাছে আস্থাভাজন হওয়ার নিয়্যতে কাজ
করে, সে মানুষের শ্রদ্ধা
ও ভালবাসা লাভ করতে পারে না। সে যা চায় তার উল্টোটাই
পায়।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন :-
من سمع سمع الله به، ومن يرائي يرائي
الله به.أخرجه
البخاري : 6499
যে মানুষকে শুনাতে চায় আল্লাহ তার কথা শুনিয়ে
দেন। যে মানুষকে দেখাতে চায় আল্লাহ মানুষের কাছে
তাকে দেখিয়ে দেন। (বর্ণনায় : বুখারী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আরো বলেন :-
من كانت الدنيا همه فرق الله عليه أمره
وجعل فقره بين عينيه ولم يأته من الدنيا إلا كتب له، ومن كانت الآخرة نيته جمع
الله له أمره، وجعل غناه في قلبه وأتته الدنيا وهي راغمة . أخرجه
ابن ماجة : 4105
যে ব্যক্তির উদ্দেশ্য হবে পার্থিব স্বার্থ, আল্লাহ তার কাজগুলোকে এলোমেলো করে দেবেন। তার দু চোখে দরিদ্রতা দিয়ে দেবেন। তার জন্য যা কিছু নির্ধারিত আছে এর বাইরে দুনিয়ার কিছুই সে লাভ করতে পারবে না। আর যার উদ্দেশ্য হবে আখেরাত, আল্লাহ তার কাজ-কর্ম গুছিয়ে দেবেন। তার অন্তরে সচ্ছলতা দান করবেন। দুনিয়ার সম্পদ অপমানিত হয়ে তার কাছে ফিরে আসবে। (বর্ণনায় : ইবনে মাজাহ)
আমাদের পূর্বসূরী সালাফে সালেহীন এ বিষয়ে
কতটা সচেতন ছিলেন তা অনুমান করা যায় মুজাহিদ রহ. এর কথায়। তিনি বলেন : বান্দা যখন তার অন-র নিয়ে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হয় আল্লাহ তখন সকল সৃষ্ট
জীবের অন্তর তার দিকে ঝুকিয়ে দেন।
ফুজাইল রহ. বলেন : যে কামনা করে আলোচিত হওয়ার
জন্য, যার একান্ত আকাঙ্খা
এই যে, মানুষ তাকে স্মরণ করুক, তাকে কিন্তু স্মরণ করা হয় না। আর যে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে এবং মানুষ তাকে স্মরণ করুক এটা কামনা করে
না, আসলে তাকেই স্মরণ করা
হয়। (ইলামুল-মুআক্কিয়ীন : ইবনুল কায়্যিম)
0 comments:
Post a Comment